১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে (বেণুর ঠাকুর বা লক্ষীনারায়ণ ঠাকুর নামে ও পরিচিত ) ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করেন । তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন । তাই পরবর্তী কালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ । নারায়ণগঞ্জ মহকুমা সৃষ্টি ১৮৮২ সালে। ঢাকা জেলার সাবেক মহকুমা থেকে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলায় উন্নীত হয়। নারায়ণগঞ্জ কালেক্টর ভবন শহরের মীরজুমলা রোডে অবস্থিত ছিল। পরবর্তীতে শহরের কোলাহল বৃদ্ধি এবং জেলা প্রশাসনের কর্মপরিধি ব্যাপক হলে শহর থেকে দূরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের পাশে চানমারী এলাকায় জেলা প্রশাসকের কায্যালয় স্থানাস্তর করা হয়। ১৯৮৪ সালে নারায়ণগঞ্জ বিশেষ জেলা শ্রেণীর আওতায় জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর শুরু হতে জেলা প্রশাসন, ভূমি প্রশাসন, উন্নয়ন কার্যের সমন্বয় সাধন, আইন শৃংখলা রক্ষা, সরকারের সমাজ রক্ষা বেষ্টনী কার্যক্রম, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জনশক্তি রক্ষার ক্ষেত্রে জন সাধারণকে সেবা প্রদান করে আসছে। এ জেলার আয়তন ৭৫৯,৫৪ বর্গ কিলোমিটার । ঢাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গঙ্গা-ব্রক্ষপূত্র-মেঘনা অববাহিকায় পাললিক মাটি জাতীয় সমতল ভূমিতে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা ১০৫ মিলিয়ন । শহরের পূর্ব পার্শেব শীতলক্ষা নদী এবং দক্ষিণও পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদী । জেলায় উপজেলা ৫, ইউনিয়ন ৪১, মৌজা ৮৮১, গ্রাম ১৩৭৪, পৌরসভা ২, ওয়ার্ড ১২, মহল্লা ১১৫। উপজেলাগুলো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস