নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী-বন্দর। ‘‘প্রাচ্যের ডান্ডি’’ বলে পরিচিত এ জেলা রাজধানী ঢাকা হতে মাত্র ১৬ কিঃ মিঃ দূরে এবং ঢাকা শহরের উপকন্ঠে ২৩.৩৪ ও ২৪.১৫ অক্ষাংশে এবং ৯০.২৭ ও ৯০.৫৯ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তরে নরসিংদী ও ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা, পূর্বে কুমিল্লা, পশ্চিমে ঢাকা জেলা এবং দক্ষিণে মুন্সীগঞ্জ জেলা। নারায়ণগঞ্জের মধ্য দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী প্রবাহিত। পূর্ব সীমানা দিয়ে মেঘনা নদী, পশ্চিম সীমানার কিছু অঞ্চল দিয়ে বুড়িগঙ্গা এবং দক্ষিণ/পশ্চিম সীমানায় ধলেশ্বরী নদী প্রবাহিত। নারায়ণগঞ্জ ১৯৪৭ সালে মহকুমায় এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হয়। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক এবং রেলপথ নির্মাণের পূর্বে ঢাকার সাথে নারায়ণগঞ্জের যোগাযোগ মূলত: শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদী পথেই হ’ত। জেলার আবহাওয়া মোটামুটি সমভাবাপন্ন। গরম ও শীতকালের গড় তাপমাত্রার ব্যবধান প্রায় ১৭.৫ ডিগ্রী ফাঃ। এ জেলায় বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমা্ণ ১৮৩ সে. মি.।
মাটির প্রকার | বিস্তৃতি | বৈশিষ্ট্য | প্রভাব | ক্ষতির প্রভাব নিয়ন্ত্রণের সম্ভাব্য ব্যবস্থা |
---|---|---|---|---|
ব্রক্ষ্মপুত্রের পাললিক অঞ্চল | বৃহত্তর ময়মনসিংহ (গড়াঞ্চল ব্যতীত), জামালপুর, শেরপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেট জেলার সমতল এলাকা। | পলিযুক্ত, ধূসর থেকে গাঢ় ধূসর রং, এটেল বা দো-আঁশ প্রকৃতির উর্বর মাটি চুন বা ক্যালসিয়ামের ভাগ কম। পিএইচ মান ৫.৫-৬.৮ | আবহাওয়া সারা বছর মাছের অনুকূলে থাকে। কোথাও কোথাও ডুবন্ত জলজ আগাছায় চাষ ক্ষতিগস্ত হয়, যে কোন প্রজাতির মাছ চাষ করার উপযোগি। | ২-৩ বছরে একবার পুকুর শুকিয়ে তৈরি করা উচিত। নিয়মিত চুন ব্যবহার করতে হবে। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস